ইসরায়েল ও হামাসের সংঘাতে এখন পর্যন্ত ১৩৬০ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ইসরায়েলে হামাসের হামলায় ৮০০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে দেশটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। ইসরায়েলের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সোমবার (৯ অক্টোবর) বিকেল পর্যন্ত ২ হাজার ৫০৬ জন আহতকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে, যার মধ্যে ২৩ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক ও ৩৫৩ জন আঘাত বা জখম গুরুতর।
গুগল নিউজে ফলো করুন আরটিভি অনলাইন
অন্যদিকে, হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, ইসরায়েলের হামলায় গাজায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৫৬০ তে দাঁড়িয়েছে। তাছাড়া ইসরায়েলিদের তাণ্ডবে এখন পর্যন্ত ২৯০০ জন ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন।
predoct win
এদিকে, গাজার ওপর ‘সর্বাত্মক অবরোধ’ আরোপ করেছে ইসরায়েল। দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইয়োয়াভ গালান্ট জানিয়েছেন, গাজার বিদ্যুৎসংযোগ কেটে দেওয়ার পাশাপাশি সেখানে খাদ্য ও জ্বালানি প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।
২০০৭ সাল থেকেই বায়ু, স্থল ও সমুদ্র তিন দিক থেকেই অবরোধের অধীনে রয়েছে গাজা। হামাসের হামলার পর থেকে গাজার ২০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা পানি, বিদ্যুৎ সংকটের পাশাপাশি ওষুধের অভাব ও অস্ত্রোপচারের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
ইসরায়েলের মার্কিন দূতাবাস জানিয়েছে যে, শতাধিক ইসরায়েলিকে বন্দি করেছে হামাস। তবে হামাস জানিয়েছে, তারা এত বেশি ইসরায়েলি আটক করেছে, যা ইসরায়েলের ধারণার চেয়েও বেশি। এবার হামাসের হাতে এসব বন্দিদের ফেরাতে মিশরের সাহায্য চেয়েছে ইসরায়েল।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাসের হামলা মোকাবিলায় তিন লাখ রিজার্ভ সেনা ডেকেছে ইসরায়েল। সোমবার (৯ অক্টোবর) ইসরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) মুখপাত্র হাগারি এ ঘোষণা দেন। এর আগে এক লাখ রিজার্ভ সেনা ডাকার কথা জানা গিয়েছিল। তবে পরিস্থিতি বিবেচনায় তা তিন লাখে উন্নীত করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, শনিবার (৭ অক্টোবর) ইসরায়েলে হাজার হাজার রকেট হামলা চালায় হামাস। এ ছাড়া ভারী অস্ত্র নিয়ে স্থলপথেও হামলা চালায় তারা। এ সময় বহু ইসরায়েলি আটক করে গাজায় নিয়ে গেছে হামাস। এখন পর্যন্ত দুপক্ষের সংঘাত চলছেই।