নিউজ ডেস্ক: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটের আগের দিন শনিবার সকাল ৬টা থেকে দেশব্যাপী টানা ৪৮ ঘণ্টার হরতালের ডাক দিয়েছে বিএনপি।এছাড়া শুক্রবার মিছিল ও গণসংযোগ কর্মসূচি পালন করবে বিএনপি ও সমমনা দলগুলো।
রোববার সারা দেশে সংসদ নির্বাচনের ভোট হচ্ছে, তবে এতে অংশ নিচ্ছে না বিএনপি ও সমমনা দলগুলো। এ অবস্থায় ভোটের আগের দিন, ভোটের দিন ও ভোটের পর দিনও হরতাল করবে তারা।
বিএনপি সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বৃহস্পতিবার বিকেলে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে টানা হরতালের কর্মসূচি ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, ৬ জানুয়ারি সকাল ৬টা থেকে ৮ জানুয়ারি সকাল ৬টা পর্যন্ত দেশব্যাপী ৪৮ ঘণ্টার হরতালের কর্মসূচি থাকবে।
ক্ষমতাসীন সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের একদফা দাবিতে এই কর্মসূচি বলে জানিয়েছেন তিনি।
এদিকে রবিবার (৭ জানুয়ারি) অনুষ্ঠিতব্য দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রতিবাদে শুক্রবার সারাদেশে বিক্ষোভ মিছিল ও গণসংযোগ করবে বিএনপি।
বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জনের আহ্বানের পক্ষে জনসমর্থন বাড়াতে এই কর্মসূচি ঘোষণা করে দলটি।
তিনি বলেন, অন্যান্য সমমনা বিরোধী দলগুলোও নির্বাচনের মাত্র দুই দিন আগে শুক্রবার একই ধরনের কর্মসূচি পালন করবে।
বিএনপি নেতা বলেন, ‘বিএনপি ও সমমনা দলগুলো শুক্রবার মিছিল ও গণসংযোগ কর্মসূচি পালন করবে।’
বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীদের স্বতঃস্ফূর্ত সমর্থন দিয়ে কর্মসূচি সফল করার আহ্বান জানান রিজভী।
এর আগে গত সোমবার গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বর্ধিত করেছিল দলটি।
গত ২৪ ডিসেম্বর দলটি ২৬ ডিসেম্বর থেকে তিন দিনের গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি ঘোষণা করে। পরে এ কর্মসূচির সময় তিনবার বাড়ানো হয়।
গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে দলটির নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষের পর থেকে হরতাল, অবরোধের মতো কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছে দলটি। সরকারি ছুটির দিন শুক্র ও শনিবার এবং সপ্তাহের মাঝামাঝি মঙ্গলবার বাদে বাকি দিনগুলোতে কর্মসূচি পালন করছিল বিএনপি ও সমমনা দলগুলো।
তবে এক পর্যায়ে লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ শুরু করে তারা। এখন ওই কর্মসূচির পর আবার পুরোনো কর্মসূচি অর্থাৎ হরতালে ফিরে গেল বিএনপি। দলটির ডাকা হরতাল-অবরোধে ঢাকাসহ সারা দেশেই গাড়িতে আগুন ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটছে গত অক্টোবরের শেষ দিক থেকে।
বর্তমান সরকারের পদত্যাগ এবং নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধাক সরকারের অধীনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানে বাধ্য করতে গত বছরের ১০ ডিসেম্বর থেকে প্রায় ৩৬টি বিরোধী রাজনৈতিক দল যুগপৎ আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে।
গত ১৫ নভেম্বর দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়। তফসিল অনুযায়ী, ভোটের প্রচার চলছে এখন। ভোট হবে ৭ জানুয়ারি।