ঘুসের ৬ লাখ টাকাসহ ওসমানী হাসপাতালের দুই কর্মচারী আটক ছবি-সংগৃহীত
ঘুসের ছয় লাখ টাকাসহ সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের দুই কর্মচারীকে আটক করা হয়েছে।
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আসন, প্রার্থী, ফলাফল ও সব খবর এখানে।
মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) দুপুরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে হাসপাতাল থেকে তাদের আটক করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি সংস্থা।
আটকরা হলেন হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স (ব্রাদার) আমিনুল ইসলাম ও সুমন চন্দ্র দেব।
এ ঘটনায় হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. সৌমিত্র চক্রবর্তীকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তদন্ত কমিটিকে পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবদন দিতে বলা হয়েছে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, হাসপাতালের এক নার্সের এরিয়ার বিলের টাকা পাইয়ে দিতে আমিনুল ইসলাম ও সুমন চন্দ্র দেবসহ কয়েকজন তার সঙ্গে চুক্তি করেন। চুক্তি অনুযায়ী মঙ্গলবার টাকা নিয়ে হাসপাতালে এসে আমিনুল ইসলামের কাছে দেন ওই নার্স। এসময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি সংস্থা প্রথমে আমিনুল ইসলামকে আটক ও পরে তার কাছ থেকে ছয় লাখ টাকা উদ্ধার করে। এসময় তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সুমন চন্দ্র দেবকেও আটক করা হয়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে হাসপাতালের ভুক্তভোগী নার্স জানান, তিনি বেশ কিছুদিন ধরে হাসপাতালে না থাকায় এরিয়া বিল পাইয়ে দেওয়ার জন্য হাসপাতালের কয়েকজনের সঙ্গে চুক্তি হয়েছিল। তারা প্রথমে ১০ লাখ টাকা দাবি করেছিলেন। পরে দরকষাকষি করে ছয় লাখ টাকায় চুক্তি হয়। চুক্তি অনুযায়ী মঙ্গলবার টাকা নিয়ে আমিনুল ইসলামের কাছে যান। এসময় কয়েকজন এসে টাকাসহ আমিনুলকে ধরে নিয়ে যান।
এ বিষয়ে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহবুবুর রহমান ভূঁইয়া বলেন, ‘নির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা দুজন সিনিয়র স্টাফ নার্সকে (ব্রাদার) আটক করেছেন। এসময় তাদের কাছ থেকে টাকাও উদ্ধার করা হয়। হাসপাতালের এক নার্সের এরিয়া বিল পাইয়ে দিতে আর্থিক লেনদেনের চুক্তি করা হয়েছিল বলে আমাকে জানানো হয়েছে।’
তিনি বলেন, এ ঘটনায় আরও কয়েকজনের নাম এসেছে। এরমধ্যে দুজনকে আটক করা হয়েছে। ঘটনা তদন্তে হাসপাতালের পক্ষ থেকে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। মামলার প্রস্তুতিও চলছে।