সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস আজ বৃহস্পতিবারে রাজধানীর অনেক সড়কে ভয়াবহ যানজট দেখা দিয়েছে। সকাল থেকেই অনেক সড়কে তীব্র যানজট দেখা দেয়। দীর্ঘ সময় গাড়িতে আটকে থেকে উপায় না পেয়ে অনেকে হেঁটেই গন্তব্যে ছুটছেন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার বিকালে রাজধানীর বেশ কয়েকটি সড়ক ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। সকাল থেকে রামপুরা, গুলশান, মতিঝিল, কারওয়ান বাজার, বাংলামোটরসহ অনেক এলাকায় দেখা গেছে গাড়ির দীর্ঘ জট। হঠাৎ গাড়ি চলা শুরু হলেও তার স্থায়িত্ব বেশিক্ষণ থাকে না। একটি সিগন্যাল পার হতেই দীর্ঘ সময় লাগছে। বিকালে বিমানবন্দর এলাকায় সড়কে গাড়ির চাপ রয়েছে।
রাজধানী দক্ষিণখান থেকে ভাটারায় অফিস করেন মো. সালাহউদ্দীন মিয়া। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের এই কর্মী বলেন, বিকাল আড়াইটায় অফিস শেষ করে ভাটারা থেকে উত্তরার হাউজ বিল্ডিং এলাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছি। বিকালে পৌনে ৬টাও গন্তব্যে পৌঁছাতে পারিনি। অন্য সময় সময় ৪০ মিনিট বা ১ ঘণ্টায় অফিস থেকে বাসায় পৌঁছে যেতাম। রমজান শুরুর পর থেকেই গন্তব্যে পৌঁছাতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে।
মতিঝিল, রামপুরা, গুলশান ও বাংলামোটরের অবস্থাও ভয়াবহ। এসব সড়কে অন্যান্য সময় যানজট লেগে থাকে। আজ তা প্রকট আকার ধারণ করেছে। এসব সড়কে গাড়ি নড়ছেই না।
রামপুরায় দীর্ঘ সময় বাসে বসে থাকার পর হেঁটেই গন্তব্যে যাওয়ার জন্য বাস থেকে নেমে পড়েন রফিকুল ইসলাম। মেরুল বাড্ডা যাওয়ার জন্য আবুল হোটেলের সামনে বাসে উঠেছিলেন তিনি।
রফিকুল বলেন, গাড়ি তো দেখি চলছেই না। কতক্ষণ এই রাস্তা পার হবো তার ঠিক নেই। মনে হচ্ছে গাড়ি যাওয়ার আগে হেঁটেই আগে পৌঁছতে পারবো। তাই বাস থেকে নেমে রওনা হলাম।
বেইলি রোড, হেয়ার রোড, মগবাজার এলাকাতেও সকাল থেকে যানজট তীব্র হয়েছে। অফিসার্স ক্লাব থেকে মগবাজারের দিকে যেতে যানজটের কারণে এক জায়গায় ৩০ মিনিটের বেশি থাকতে হয়েছে বলে জানিয়েছেন এক যাত্রী।
বুধবার চালু হওয়া এক্সপ্রেসওয়ের নতুন রুটের কারণে সাতরাস্তা, হাতিরঝিলের দিকেও যানবাহনের চাপ বেড়েছে। ফলে সকাল থেকে তীব্র যানজট হয়েছে এই এলাকায়।