নতুন আলো নিউজ ডেস্ক :হাজীগঞ্জে পুকুর থেকে ভাসমান অবস্থায় ৪ কিশোরের লাশ উদ্ধার করেছে এলাকাবাসী। মঙ্গলবার ভোরে পৌরসভাধীন ১১নং ওয়ার্ড রান্ধুনীমূড়া গ্রামের বৈষ্ণব বাড়ির পুকুর থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এরআগে সোমবার দুপুরে গোসল করতে গিয়ে তারা নিখোঁজ হয়।
নিহতরা হলো—ওই গ্রামের আলী মিয়া বেপারী বাড়ি ওরফে শুকু কমিশনার বাড়ির ওয়াসিমের দুই ছেলে রাহুল (১৩) ও শামিম (১১), একই বাড়ির আহচান হাবিবের ছেলে আরাফাত হোসেন রায়হান (১১) এবং শাহরাস্তি উপজেলার বোচ্চা গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে লিয়ন (১৩)।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওই বাড়ির ইউছুফের ছেলে ইব্রাহিম আজ ভোরে ফজর নামাজের ওজু করতে গিয়ে তিন কিশোরের লাশ ভাসমান অবস্থায় দেখতে পান। পরে তার ডাক-চিৎকারে বাড়ির লোকজন ও এলাকাবাসী দৌড়ে এসে প্রথমে তিনজনের ও পরে একজনের লাশ উদ্ধার করে।
নিহতদের পরিবারিক সূত্রে জানা যায়, গতকাল দুপুরে গোসল করতে গিয়ে ৪ কিশোর নিখোঁজ হয়। গোসল শেষে সন্ধ্যা পর্যন্ত বাড়িতে ফিরে না আসায় এবং সম্ভাব্য সকল স্থানে তাদের খুঁজে না পেয়ে মাইকিং করা হয়। আজ ভোরে ৩ জনের লাশ ভেসে উঠে। পরে স্থানীয়রা পুকুরে নেমে অপরজনের লাশসহ ৪ জনের লাশ উদ্ধার করে।

নিহতদের পরিবার আরো জানায়, তারা সবাই সাঁতার জানতো। যেহেতু একসাথে ৪ জন নিখোঁজ হয়েছে তাই তারা ভেবেছে, এরা কোথাও ঘুরতে গেছে। তাই গুরুত্ব দিয়ে খোঁজা হয়নি। যখন বিকাল গড়িয়ে সন্ধ্যা নেমে আসে তখনি চারদিকে খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। এদিকে ৪ কিশোরের মৃত্যুর ঘটনায় স্থানীয়রা বিভিন্ন কল্পকাহিনীকে দায়ী করেন। তারা বলেন, ওই পুকুরে প্রতিবছর কোনো না কোনোভাবে মৃত্যুর ঘটনা ঘটে থাকে।
স্থানীয় পৌর কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র-২ শুকু মিয়া জানান, গতকাল দুপুরে কিশোররা বাড়ির পাশে একটি পুকুরে গোসল করতে যায়। এরপর থেকে তারা নিখোঁজ ছিল। লাশের সুরতহাল রিপোর্টকারী হাজীগঞ্জ থানা উপপরিদর্শক (এসআই) জয়নাল আবেদীন জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে ৪ কিশোর পানিতে ডুবে মারা গেছে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হাজীগঞ্জ সার্কেল) মো. আফজাল হোসেন জানান, নিহতদের পরিবারের অভিযোগ না থাকায় এবং তাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ দাফনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
মোঃ আনোয়ার হোসেন মানিক কর্তৃক (সংগ্রহ) । কপি রাইট মোঃ কামরুজ্জামান ।