বিশেষ প্রতিনিধি:
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার রানীগঞ্জ ইউনিয়নে খামড়াখাই গ্রামের জামে মসজিদের পাশে পাঠাগারের নাম ফলক রাতের আধারে কেউ বা কারা ভেঙ্গে ফেলেছে। এ নিয়ে আলোচনা সমালোচনা ঝড় বইছে।
স্থানীয়রা জানান, খামড়াখাই গ্রামের মৃত ইন্তাজ উল্লার ছেলে দানবীর হাজী আব্দুল রহিম দীর্ঘ দিন ধরে অত্র অঞ্চলে বিভিন্ন উন্নয়ন মুলক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। ঐতিহ্যবাহী জয়নগর খামড়াখাই দারুচ্ছুন্নাহ মাদ্রাসায় তিনতলা ভবন নিজ অর্থায়নে নিমার্ণ করে দেন। প্রাচিন শান্তিগঞ্জ বাজারের একটি মসজিদ নিমার্ণ করে দেন। বিগত দিনে বন্যা ও করোনার সময় ত্রান সামগ্রী বিতরণ সহ প্রত্যেক মাসে গ্রামের প্রায় ৩৪ জন দরিদ্র লোকদের বয়স্ক ভাতা প্রদান করেন।
এ মানবতার ফেরীওয়ালা বিভিন্ন মসজিদের ইমাম ও মুয়াজ্জিনের বেতন দিয়ে যাচ্ছেন। খামড়াখাই জামে মসজিদে নিজ অর্থায়ানের বিভিন্ন অবকাঠামো উন্নয়ন করেন। বর্তমান ভার্চুয়াল জগতে দিন দিন গ্রামের শিক্ষার্থী সহ সকল জনসাধারন চলে যাওয়ায় সেখান থেকে ফিরে আনতে গ্রামের মসজিদের পাশে পাঠাগার নিমার্ণ করেন দানবির হাজী আব্দুল রহিম।
তিনি নিজের অর্থায়ানে একটি ভবনটি নিমার্ন করে বই থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়া সকল জনসাধরনকে আবার বইয়ের কাছে নিয়ে আসার চেষ্টার করেন। ভবনে কাজ প্রায় শেষে দিকে ছিল। রবিবার দিবাগত রাতে কে বা কারা পাঠাগারের নাম ফলক ভেঙ্গে ফেলে।
এ ব্যাপারে হাজী আব্দুল রহিমের ভাতিজা সামসুল ইসলাম ও বাদশা মিয়া জানান, আমাদের চাচা অত্র অঞ্চলে সব সময় গরিব দু:খী মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। বিশেষ করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মাদ্রাসা মসজিদ সহ বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ডে আর্থিক অনুদান দিয়ে যাচ্ছেন।
মানুষদের বই মুখী করতে পাঠাগার প্রতিষ্টার জন্য কাজ করে যাচ্ছিলেন। রাতের আধারে কে বা কারা পাঠাগারের নাম ফলক ভেঙ্গে দিয়েছে। এতে করে আগামী দিনে দানশির চাচা সামাজিক উন্নয়নে আর এগিয়ে না আসার সম্ভবনা দেখা দিয়েছে। এ কাজে আমাদের সকলের ক্ষতি হয়েছে। আমরা এ বিচার চাই।
এ ব্যাপারে জানতে খামড়াখাই জামে মসজিদের মোতায়াল্লি খালিছ মিয়ার সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, পাঠাগারের নাম ফলক ভাঙ্গার বিষয়ে সোমবার আমরা পঞ্চায়েত কমিটি বসে আলোচনা করে নিষ্পত্তি করা হয়েছে। কে বা কারা করছে আমরা জানিনা। পঞ্চায়েত কমিটি বসে আপোসে শেষ করা হয়েছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো.মাহমদ মিয়ার সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, মসজিদের সমস্যার বিষয়টা দায়িত্ব আমি আনছি। যেভাবে ছিল সেভাবে আমি এটাকে করে দিব। এটা আমার দায়িত্ব। এরপরও গ্রামের মধ্যে ও মসজিদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়েছিল এটার দায়িত্ব নিয়েছি। এটা আমি শেষ করতাম। এটা আমি শেষ করলাম। বোর্ড লাগাইয়া দিচ্ছি।