ডেস্ক রিপোর্ট:: নোয়াখালীর সেনবাগের কাদরা ইউপির নন্দীর পাড়ে বান্ধবীর বাড়ি থেকে এক প্রবাসীর স্ত্রী (২২) কে জোরে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করে ফরহাদ বাহিনী অভিযোগ উঠেছে।
গত রোববার রাতে সেনবাগ থানা পুলিশ খবর পেয়ে ধর্ষিতা গৃহবধূকে উদ্ধার করে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সেনবাগ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবদুল বাতেন মৃধা। জোরপূর্বক ধর্ষণ ও মারধরের ঘটনায় ভিকটিম বাদী হয়ে ধর্ষক ফরহাদসহ অজ্ঞাত আরও ৭/৮ জনকে আসামি করে নারীও শিশু নির্যাতন দমন আইনে সেনবাগ থানায় মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী।
নির্যাতিতা জানান, গত শুক্রবার সন্ধ্যায় পার্শবর্তী নন্দীরপাড় গ্রামে বান্ধবী রিমার জন্মদিনের অনুষ্ঠানে ৬ বছরের কন্যাকে নিয়ে যান। রাত সাড়ে ১০টায় নন্দীরপাড় থেকে আসা রমজান নামে আরও এক যুবক স্থানীয় সন্ত্রাসী ফরহাদের নেতৃত্বে ৭/৮ জন সহযোগী তাদেরকে ভূঞাবাড়ীর লেদু মিয়ার বিল্ডিং-এ নিয়ে যায়। সেখানে রাজনের কাছে ২০ হাজার টাকা ও ভিকটিমের নিকট ১০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে ফরহাদ। এ সময় দাগনভূঞার দরবেশে হাটের স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা মুঠোফোনে রাজনকে ছেড়ে দিতে বলে।
রাত পৌনে ১১টায় রাজনের পিতা ও ভাই ছাত্রলীগের সাবেক নেতা আফসারের বিল্ডিং থেকে আটক রাজনকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। ওই সময় ভিকটিমের কাছে ১০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে ফরহাদ। টাকা দিতে অস্বীকার করায় ফরহাদ ও তার ৭/৮ জন সহযোগীকে বিল্ডিংয়ের বাহিরে পাহারা বসিয়ে ভিকটিমকে কুপ্রস্তাব দেয়। কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ভিকটিমকে শারীরিক নির্যাতন চালায় ফরহাদ। স্বামী, সংসার ও শিশুর দোহাই দিয়ে এবং অনেক কান্নাকাটি করেও ভিকটিম তার সম্ভ্রম রক্ষা করতে পারেনি।
বাহিরে পাহারা বসিয়ে রাত পৌনে ১২টা পর্যন্ত তাকে ধর্ষণ করা হয়। রাত একটায় ফরহাদ বিল্ডিং-এ তালা লাগিয়ে সহযোগীদের নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। সেনবাগ থানার ওসি তদন্ত মো. ইকবাল হোসেন জানান, ভিকটিমকে উদ্ধার করে আইনি সহায়তা দেয়া হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধর্ষণের সত্যতা পাওয়া গেছে। গতকাল দুপুরে ভিকটিমের ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য নোয়াখালী সদর হাসপাতাল ও ২২ ধারায় জবানবন্দি রেকর্ডের জন্য নোয়াখালীর বিজ্ঞ আদালতে পাঠানো হয়েছে। ধর্ষণের ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে পুলিশ তৎপর রয়েছে।