ডেস্ক রিপোর্ট::গাজীপুরে চাকুরির প্রলোভন দেখিয়ে এক গৃহবধুকে (২২) রাজবাড়ি জেলার দৌলতদিয়া ঘাটের পতিতা পল্লীতে বিক্রি করেছে মানব পাচারকারীরা দলের সদস্যরা। প্রায় একমাস পর তাকে পতিতাপল্লী থেকে উদ্ধার করেছে জিএমপি’র বাসন থানা পুলিশ। এ ঘটনায় পাচারকারী দলের এক সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বৃহষ্পতিবার জিএমপি’র বাসন থানার ওসি মোহাম্মদ মালেক খসরু এ তথ্য জানিয়েছেন।
বৃহষ্পতিবার ভোরে এ মানব পাচার চক্রের মূলহোতা সোহেল রানাকে(২৫) রাজধানীর উত্তরখান এলাকা হতে গ্রেফতার করা হয়। অন্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। এঘটনায় মানব পাচার প্রতিরোধ আইনে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত সোহেল রানা রাজাবাড়ি জেলার গোয়ালন্দ থানাধীন সামসু মাষ্টারপাড়া এলাকার বাবুল সরদারের ছেলে।
পুলিশ কর্মকর্তা জানান, ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট থানা এলাকার ওই গৃহবধূ (২২) স্বামীর সঙ্গে গাজীপুর মহানগরীর বাসন থানাধীন ভোগড়া বাইপাস এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকেন। তার স্বামী একজন অটোরিক্সা চালক। সংসারে অভাব অনটন থাকায় কিছুদিন ধরে চাকুরির সন্ধান করছিলেন ওই গৃহবধূ।
গত ১১ আগস্ট সকালে চাকুরির সন্ধানে স্থানীয় রুপা গার্মেন্টসের সামনে যান। এসময় সেখানে উপস্থিত তিন ব্যক্তি চাকুরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে তাকে সাভার এলাকায় নিয়ে যায় এবং গৃহবধুকে ৫০ হাজার টাকায় রাসেল নামের একজনের কাছে বিক্রি করে। আর রাসেল তাকে রাজবাড়ি জেলার গোয়ালন্দ থানাধীন দৌলতদিয়া পতিতা পল্লীতে ১ লাখ ২০ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেয়। সেখানে ওই গৃহবধূর সঙ্গে যৌণ শোষণ ও নিপীড়ন করা হয়।
তিনি আরো জানান, ওই গৃহবধু বাসায় না ফেরায় এবং মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় তার স্বামী বিভিন্ন স্থানে খোঁজ করতে থাকেন এবং বিষয়টি স্বজনদের জানান। স্ত্রীর খোঁজ না পেয়ে তার স্বামী বাসন থানায় অভিযোগ করেন। এর প্রেক্ষিতে গৃবধূর সন্ধানে পুলিশ বিভিন্নস্থানে অভিযান শুরু করে। একপর্যায়ে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে বুধবার বাসন থানা পুলিশ রাজবাড়ি জেলার দৌলতদিয়া পতিতা পল্লীতে অভিযান চালিয়ে গৃবধূকে উদ্ধার করে।