মোঃ রনি মল্লিক বিশেষ প্রতিনিধি::বরগুনার আমতলী পৌরশহরের একটি বাসা থেকে ঔষধ কোম্পনীতে কর্মরত ভাড়াটিয়া পারভেজ (২৫) নামে এক যুবকের গলায় ফাঁস লাগানো মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ (রবিবার) সকালে খবর পেয়ে আমতলী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে রুমের দরজা ভেঙ্গে তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য থানায় নিয়ে আসে। প্রেম ঘটিত বিষয়ে সে আত্মহত্যা করেছে বলে স্বজনরা দাবী করেন।
পারভেজ পপুলার ফার্মাসিটিক্যাল নামের একটি ঔষধ কোম্পানীতে ঔষধ প্রতিনিধি হিসেবে আমতলীতে কর্মরত ছিলো। সে পার্শ্ববর্তী মঠবাড়িয়া উপজেলার ধানিশাপা গ্রামের মোঃ ফারুক হাওলাদারের পুত্র। সে আমতলী পৌরশহরের হাসপাতাল সড়কের রুহুল আমিন কাজির বাসার একটি রুমে ভাড়া থাকতেন।
পুলিশ ও স্বজন সূত্রে জানা গেছে, ঔষধ কোম্পানীতে কর্মরত পারভেজ স্বরুপকাঠি উপজেলার সানজিদা নামে একটি মেয়েকে ভালোবাসতো। কিন্তু এ বিষয়টি নিয়ে পারিবারিকভাবে ঝামেলা হওয়ায় সে কিছুদিন ধরে মানুষিক যন্ত্রনায় ভূগতেছিলো। হয়তো এ কারনেই সে গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যার পথ বেঁচে নেয়।
সংবাদ পেয়ে আজ (রবিবার) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আমতলী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে এলাকাবাসীর সহায়তায় রুমের দরজা ভেঙ্গে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় রশি পেঁচিয়ে ফাঁস লাগানো অবস্থায় পারভেজের মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করার পরে দুপুরে লাশের ময়না তদন্তের জন্য বরগুনা মর্গে প্রেরণ করা হয়। বিকেলে ময়না তদন্ত শেষে পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়।
পারভেজের পিতা মোঃ ফারুক হাওলাদার মুঠোফোনে বলেন, শুনেছি আমার পুত্র স্বরুপকাঠি উপজেলার সানজিদা নামের একটি মেয়েকে ভালোবাসতো। আগামী মাসে ওই মেয়েকে আমি আমার পুত্রবধূ করে বাড়ীতে নিয়ে আসতে চেয়েছিলাম। কিন্তু ষষড়যন্ত্র করে ওই মেয়েই আমার ছেলেকে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করেছে।
আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম মিজানুর রহমান মুঠোফোনে বলনে, শুনেছি প্রেমঘটিত বিষয়ে পারভেজ নামে এক যুবক গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে। লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা রের্কড করা হয়েছে।