শনিবার (২৬ মার্চ) বিকেলে পঞ্চগড় ব্যাটালিয়ন(১৮বিজিবি) এর সার্বিক ব্যাবস্থাপনায় পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা-ফুলবাড়ী সীমান্তের জিরো লাইনে এই যৌথ রিট্রিট প্যারেড অনুষ্টিত হয়। এসময় দিবসটি স্মরণীয়  করে রাখতে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী প্যারেড প্রদর্শনসহ দুইদেশের জাতীয় পতাকাকে সালাম জানিয়ে সম্মান জানায়। এর আগে বেলুন ও পায়রা উরিয়ে শুভেচ্ছা বিনিময়ের মাধ্যমে যৌথ রিট্রিটের উদ্বোধন করা হয়। এসময় উভয় দেশের নাগরীকেরা প্যারেডটি উপভোগ করেন।

প্যারেড অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের উত্তর পশ্চিম রিজিয়ন রংপুর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রিজিয়ন কমান্ডার এ বি এম নওরোজ এহসান বিএসপি,পিএসসি এবং আইজি বিএসএফ , নর্থ বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ার, শ্রী অজয় শিং। এছাড়া বিজিবির কর্নেল মোঃ সোহরাব হোসেন পিএসসি, সেক্টর  কমান্ডার,সেক্টর সদর দপ্তর, ঠাকুরগাঁ, লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোঃ গোলাম ফজলে রাব্বী, বিজিবিএম,পিএসসি, অধিনায়ক, পঞ্চগড় ব্যাটালিয়ন (১৮ বিজিবি) ও বিএসএফ এর ডিআইজি, শিলিগুড়ি সেক্টর, শ্রী পরশুরাম ভারপ্রাপ্ত কমান্ড্যান্ট, ১৭৬ ব্যাটালিয়ন বিএসএফ, শ্রী হরিশচন্দ্র এবং বিজিবি বিএসএফ এর বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাসহ  জেলা প্রশাসক, পঞ্চগড় ;জেলা ও দায়রা জজ,পঞ্চগড়  এবং পুলিশ সুপার, পঞ্চগড় উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে দুই দেশের সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ের কর্মকর্তাগণ, স্থানীয় রাজনৈতিক ও গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ,ইলেট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সদস্যগন এবং বিভিন্ন স্থান হতে আগত পর্যটকগন উপস্থিত ছিলেন।

অতিথিদের আগমনের পর ভ্রাতৃত্বের সেতু বন্ধনের অংশ হিসেবে বিজিবি -বিএসএফ প্যারেড কন্টিনজেন্ট চমকপ্রদ ও মনোমুগ্ধকর প্যারেড প্রদর্শন করেন। প্যারেড শেষে রিজিওন কমান্ডার, বিজিবি, উত্তর-পশ্চিম রিজিয়ন,রংপুর ও আইজি বিএসএফ, নর্থ বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ার বিজিবি ও বিএসএফ কন্টিনজেন্টের সাথে ফটোশেসনে অংশগ্রহন করেন।

বাংলাদেশের  মহান স্বাধীনতার ৫১ তম বার্ষিকী উপলক্ষ্যে বিজিবি রিজিয়ন কমান্ডার এবং বিএসএফ ফ্রন্টিয়ার কমান্ডার এ ধরণের  অনুষ্ঠান দু’দেশের সম্পর্ক উন্নয়ন ও মানুষকে দেশপ্রেমে উদ্ভুদ্ধ করবে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন।বিজিবি রিজিয়ন কমান্ডার এই মহতী অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পেরে আইজি বিএসএএফ – বিজিবিকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন পূর্বক দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে বক্তব্য প্রদান করেন। বক্তাগন তাদের বক্তব্যে এই স্মরণীয় আরও গৌরবান্বিত করার লক্ষ্যে দুই দেশের বন্ধুত্বের এই নিদর্শন যৌথ রিট্রিট প্যারেডের আয়োজনকে সাধুবাদ জানান। পরিশেষে বিজিবি -বিএসএফ ঐতিহাসিক জয়েন্ট রিট্রিট সেরিমনিকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য স্মারকচিহ্ন (Momentos) বিনিময়ের পরিসমাপ্তি ঘটে।