চ্যাম্পিয়ন্স লিগ মানেই যেন রিয়াল মাদ্রিদ। ১৫তম শিরোপা জয়ের আরো কাছে লস ব্লাঙ্কোস। শেষ ১৩ আসরে ১১ বার সেমিফাইনালে স্প্যানিশ জায়ান্টরা।সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে হারের পর নিজেদের মাঠেও পারল না চেলসি। দ্বিতীয়ার্ধে রদ্রিগোর জোড়া গোল চেলসির বিদায় ঘণ্টা বাজিয়ে দিয়েছে। প্রথম লেগের মতো দ্বিতীয় লেগেও ২-০ গোলের জয়। তাতে দুই লেগে ৪-০ গোলের জয়ে সেমিতে পা রেখেছে রিয়াল।
প্রথম লেগে ২-০ গোলে হারের পরও, সেমিতে যাওয়ার কথা বলেছিলেন চেলসি বস ফ্রাঙ্ক ল্যাম্পার্ড। নিজেদের মাঠ বলেই আশা রাখছিল সমর্থকরা। ম্যাচে চেলসি চেষ্টাও করেছে অনেক; কিন্তু শেষ পর্যন্ত হয়ে উঠেনি। এ জন্য অবশ্য কৃতিত্ব দিতে হয় রিয়াল গোলরক্ষক থিবো কোর্তোয়াকেও। একাধিকবার নিশ্চিত গোলের হাত থেকে রিয়ালকে রক্ষা করেন এ বেলজিয়ান।
সেমিফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদ খেলবে এসি মিলানের বিপক্ষে। নাপোলির সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করে ১৬ বছর পর সেমিতে এসি মিলান। প্রথম লেগে এগিয়ে ছিল ১-০ গোলে।
মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) রাতে স্টামফোর্ড ব্রিজে অনুষ্ঠিত ম্যাচে আধিপত্য বিস্তার করেছিল স্বাগতিকরা। শুধু জয়টাই কপালে লেখা হয়নি তাদের। কম বল দখল, আক্রমণ ও গোলপোস্ট বরাবর শট নিয়েও পরের রাউন্ড নিশ্চিত করল রিয়াল মাদ্রিদ। মোট ১৯টি শট নিয়েছিল চেলসি, রিয়াল মাদ্রিদের জন্য সংখ্যাটি কেবল ৯। তবে চেলসির সমানসংখ্যক ৬টি অন-টার্গেট শট নিয়েছে মাদ্রিদের ক্লাবটি।
প্রথমার্ধে রিয়ালকে রুখে দেয় চেলসি। তবে বড় মঞ্চের দল রিয়াল তো যে কোনো পরিস্থিতি সামাল দিতে যানে। এদিনও চাপ কাটিয়ে জিততে অসুবিধা হয়নি তাদের। স্বাগতিকেরা
একের পর এক সুযোগ হাতছাড়া করলেও সে ভুল করেনি রিয়াল। ৫৮ মিনিটে দুর্দান্ত এক গোলে চেলসিকে বিদায়ের পথ দেখিয়ে দেন রিয়ালের ব্রাজিলিয়ান তারকা রদ্রিগো। ভিনির কাছ থেকে ফিরতি বল পেয়ে গোল করে দলকে সেমির পথে এগিয়ে দেন রদ্রিগো।
৬৫ মিনিটে ফের রিয়ালের ত্রাতা কোর্তোয়া। ৭০ মিনিটে পেনাল্টির আবেদন করে চেলসি। যদিও তাতে সাড়া দেননি রেফারি। ৮০ মিনিটে ফেদে ভালভের্দের কাছ থেকে বল পেয়ে নিজের ও দলের দ্বিতীয় গোলটি এনে দেন রদ্রিগো। এই গোলই নিশ্চিত করে রিয়ালের সেমির টিকিট। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে মৌসুমে পাঁচ গোল রদ্রিগোর। আর এদিন পঞ্চম ফুটবলার হিসেবে দেড়শোতম চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ম্যাচ খেলেন করিম বেনজেমা।