প্রজনন ও উৎপাদন বাড়াতে সমুদ্রে সব ধরনের মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা শুরু হচ্ছে। টানা ৬৫ দিন এ নিষেধাজ্ঞা বলবত থাকবে।
শুক্রবার (১৯ মে) মধ্যরাত থকে এ নিষেধাজ্ঞা জারি হবে। এ আইন অমান্য করে কেউ মাছ শিকার করলে তাদেরকে জরিমানা অথবা নিয়মিত মামলা দেওয়া হবে।
সামুদ্রিক মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণ ও টেকসই মৎস্য আহরণের লক্ষ্যে আগামী ২৩ জুলাই পর্যন্ত এ নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে। দেশের মাছের চাহিদার স্বার্থে ২০১৪ সাল থেকে কার্যক্রমটি বাস্তবায়ন করছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। এরই মধ্যে তীরে ফিরছেন বিভিন্ন এলাকার সমুদ্রগামী জেলেরা।
এ সময়ে জেলার প্রায় ৪৯ হাজার নিবন্ধিত ইলিশ জেলেকে ৮৬ কেজি করে চাল প্রদান করা হবে বলে জানিয়েছে জেলা মৎস্য বিভাগ।
Ruchi
এদিকে, সাগরে মাছ ধরা নিষিদ্ধের সময়ের অতিরিক্ত ১২ দিন মাছ ধরা বন্ধ থাকবে সুন্দরবন অঞ্চলে। ২০ মে থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত ৩ মাস ১২ দিন মাছ ধরা বন্ধ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করবে বন অধিদপ্তর।
পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়ার সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা জানান, নিবন্ধিত প্রত্যেক জেলেকে ৮৬ কেজি করে চাল প্রদান করা হবে। আশা করছি খুব শিগগিরই তারা প্রণোদনা পেয়ে যাবে। এ ছাড়া জেলেদের যে দাবি দাওয়া আছে সেগুলো আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করব।
এ বিষয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেন, সামুদ্রিক মাছের প্রধান প্রজননকালে ৬৫ দিন সাগরে মাছ ধরা বন্ধ কার্যক্রমের উদ্দেশ্য হচ্ছে মাছের নির্বিঘ্ন প্রজনন নিশ্চিত করে মৎস্যসম্পদ বৃদ্ধি করা। স্থানীয় প্রশাসন, নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড ও সশস্ত্র বাহিনী মাছ ধরা বন্ধ রাখার কাজে সহায়তা করবে।