মস্কোমুখী যাত্রা থেকে ফেরার পর প্রথম মুখ খুললেন ভাড়াটে সংগঠন ওয়াগারনার গ্রুপের প্রধান ইভজেনি প্রিগোজিন। তিনি বলেছেন, তার বিদ্রোহ রাশিয়ার সরকার উৎখাতের জন্য ছিল না। ওটা ছিল রুশ সামরিক নেতাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ। নাটকীয়ভাবে বিদ্রোহ বন্ধ করার দু’দিন পর সোমবার এক টেলিগ্রাম বার্তায় ওয়াগনার প্রধান এ কথা বলেন।
রুশ সামরিক বাহিনীর হামলার প্রতিশোধ নিতে ইউক্রেনের যুদ্ধক্ষেত্র ছেড়ে সীমান্ত পেরিয়ে রাশিয়ায় প্রবেশ করেছিল ইভজেনি প্রিগোজিনের বাহিনী। রোস্তভ শহরের সব সামরিক স্থাপনা দখলে নিয়ে নেয়। এরপর মস্কো অভিমুখে যাত্রাও করে। কিন্তু শেষমেষ সে পথ ছেড়ে ক্যাম্পে ফিরে যান তারা।
টেলিগ্রামে পোস্ট করা ১১ মিনিটের অডিওবার্তায় প্রিগোজিন বলেছেন, ইউক্রেনে চলমান যুদ্ধে অকার্যকর কর্মকৌশলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানো উদ্দেশ্য ছিল।
তবে অডিওবার্তায় তিনি এখন কোথায় আছেন কিংবা তার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী তা জানাননি।
প্রিগোজিন বলেন, রাশিয়ার শহরগুলোতে সাধারণ মানুষজন রুশ পতাকা ও ভাগনারের প্রতীক নিয়ে আমাদের সঙ্গে দেখা করেছে। আমরা যত এগোচ্ছিলাম, তারা খুবই খুশি হচ্ছিল।
গত শনিবার ওয়াগনারপ্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোজিন রুশ সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রোস্তভ-অন-দন এবং লিপেৎস্ক এলাকার কয়েকটি সেনা স্থাপনা দখল করে নেন। এর পর তার বাহিনী রাজধানী মস্কোর দিকে অগ্রসর হতে থাকে।
তবে পুতিনের ঘনিষ্ঠ মিত্র বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কোর মধ্যস্থতায় ভাগনারপ্রধান সমঝোতায় সম্মত হন। সিদ্ধান্ত হয়, প্রিগোজিনের মামলা প্রত্যাহার হবে আর তিনি বেলারুশে নির্বাসনে চলে যাবেন। পরে একটি গাড়িতে করে তাকে রোস্তভ ছেড়ে যেতেও দেখা যায়।
সমঝোতা অনুযায়ী, ভাগনার যোদ্ধারা চাইলে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের চুক্তিতেও অন্তর্ভুক্ত হতে পারবেন। রোস্তভ শহরের বাসিন্দারা ভাগনারের বাহিনী চলে যাওয়ার সময় উল্লাস করেছিলেন। পরে শনিবার টিভি ভাষণে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন প্রিগোজিনের কাজকে রাষ্ট্রদ্রোহ বলে নিন্দা করেন। তবে এরও পরে ক্রেমলিন জানিয়েছে, প্রিগোজিন এবং তার সৈন্যদের বিচার করা হবে না।