হয়েছে। এসব শূন্যস্থান অনেক সময় কম প্রশিক্ষিত ও পুরনো সেনাদের দ্বারা পূরণ করা হচ্ছে। আর যখন রুশ সেনারা কোনো অবস্থান ছেড়ে চলে যাচ্ছে তখন ইউক্রেনীয়রা সেখানে কামানের গোলার হামলার মুখে পড়ছে। ফলে সেখানে বেশি সময় তারা অবস্থান ধরে রাখতে পারছে না।
ইউক্রেনীয় সেনারা বলছেন, গোলাবারুদ ও অস্ত্রের ঘাটতি রয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন দেশ থেকে মিশ্র গোলাবারুদ পাঠানো হচ্ছে। এ কারণে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করতে ইউক্রেনীয় কামান ইউনিটকে বেশি গোলাবারুদ ব্যবহার করতে হচ্ছে। কারণ বিভিন্ন গোলার নির্ভুলভাবে আঘাতের সক্ষমতা ভিন্ন। এ ছাড়া বিদেশ থেকে পাঠানো কিছু গোলাবারুদ ত্রুটিপূর্ণ, এগুলো ব্যবহার করতে গিয়ে ইউক্রেনীয় সেনারাই আহত হচ্ছেন ।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গ্রীষ্মের মাসগুলোতে রণক্ষেত্রে সফল হওয়ার জন্য ক্যামোফ্লেজ ও সবুজ গাছপালা থাকা গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিরক্ষায় নিয়োজিত বাহিনী এ ক্ষেত্রে সবসময় সুবিধা পায়। অদেখা পরিখা বা গোপন ইলেকট্রনিক সমরাস্ত্র ব্যবহার করে আক্রমণকারী বাহিনীর ওপর হামলা চালাতে পারে তারা।
মে মাসে রাশিয়ার দখল করা পূর্বাঞ্চলীয় বাখমুত শহরে ইউক্রেনীয়রা কিছুটা অগ্রসর হতে পারছেন। কারণ এখানে প্রতিরক্ষাব্যবস্থা গড়ে তোলার সময় খুব বেশি পায়নি রুশবাহিনী। কিন্তু অপর রণক্ষেত্রেগুলোতে সফলভাবে রুশ পরিখায় আক্রমণ চালাতে সক্ষম সেনা খুঁজে পেতে হিমশিম খাচ্ছে ইউক্রেন। দীর্ঘ লড়াইয়ে সেনাদের একাংশ ক্লান্ত হয়ে পড়েছে। ভূখণ্ড পুনরুদ্ধারের আক্রমণে পরিখান খনন হয়ে পড়েছে সবচেয়ে বিপজ্জনক ও প্রয়োজনীয় কাজ। স্নাইপারের মতো বিশেষ দক্ষতার প্রশিক্ষণ এখন প্রায় বন্ধ রয়েছে।