1. admingusar@gmail.com : admingusar :
  2. crander@stand.com : :
  3. bnp786@gmail.com : editor :
  4. sylwebbd@gmail.com : mit :
  5. zia394@yahoo.com : Nurul Alam : Nurul Alam
  6. mrafiquealien@gmail.com : Rafique Ali : Rafique Ali
  7. sharuarprees@gmail.com : Sharuar : Mdg Sharuar
  8. cardgallary17@gmail.com : Shohidul Islam : Shohidul Islam
  9. wpsupp-user@word.com : wp-needuser : wp-needuser
রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ০৭:১২ পূর্বাহ্ন

ঢাবিতে ‘রমজান’ বিষয়ক আলোচনা সভায় ছাত্রলীগের হামলা, আহত ৭

  • আপডেটের সময় : বুধবার, ১৩ মার্চ, ২০২৪

মসজিদে রমজানবিষয়ক আলোচনার জের ধরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের একদল শিক্ষার্থীর ওপর ছাত্রলীগের হামলার অভিযোগ উঠেছে।

আজ বুধবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু টাওয়ার ফটকে হামলার এ ঘটনা ঘটে।

এতে গুরুতর আহত হয়েছেন অনুষদের ২০২০-২০২১ সেশনের শিক্ষার্থী রেজোয়ান আহমেদ রিফাত, শাহীনুর আলম রাসেল, সাকিব আজাদ তূর্য, রাফিদ হাসান সাফওয়ান ও ফাহিম দস্তগীরসহ ৭ জন।
হামলায় জড়িতদের মধ্যে ছাত্রলীগের শাহবাগ থানার সাধারণ সম্পাদক তাওহিদুল সুজনকে সিসিটিভি ফুটেজ থেকে আহতরা চিহ্নিত করেছেন। তিনি ছাত্রলীগের মহানগর দক্ষিণ শাখার সাধারণ সম্পাদক সজল কুন্ডুর অনুসারী বলে জানা গেছে।

আহতরা জানান, রমজান উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু টাওয়ারের নিচতলায় মসজিদে প্রোডাক্টিভ রামাদান শীর্ষক আলোচনা করছিলেন আইন অনুষদের ১০-১২ জন শিক্ষার্থী। পরে ছাত্রলীগের কয়েকজন ও বঙ্গবন্ধু টাওয়ারের সভাপতি সিরাজুল হক তাদের এভাবে আলোচনার অনুমতি নেই উল্লেখ করে চলে যেতে বলেন।

সেখান থেকে বের হওয়ার সময় টাওয়ার ফটকের সামনে মোটরসাইকেল থেকে কয়েকজন তাদের ওপর হামলা চালান। এতে অন্তত পাঁচজন গুরুতর আহত হন।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত আইন বিভাগের ২০২০-২০২১ সেশনের শিক্ষার্থী আবু তালহা বলেন, আমাদের অনুষদেও নামাজের স্থান রয়েছে। তবে সেখানে জামাতের সুযোগ না থাকায় আমরা বঙ্গবন্ধু টাওয়ারে নামাজ পড়তে যাই।

তিনি বলেন, আমাদের উদ্দেশ্য ছিল রমজানে কী আমল করা যায়, সে বিষয়ে আলোচনা করা। তখনই ছাত্রলীগের কয়েকজন আমাদের হুমকি দেওয়া শুরু করে। আমরা শুধু আলোচনা করতে বসেছি, তারা আমাদের শিবির ট্যাগ দিয়ে হামলা করে।

আহত রেজোয়ান বলেন, রমজান কীভাবে কাজে লাগাতে পারি, এ বিষয়ে আলোচনা হচ্ছিল। সেখানে হঠাৎ কয়েকজন এসে আমাদের বের হয়ে যেতে বলেন। আমরা বের হওয়ার সময় মোটরসাইকেল থেকে নেমে অনেকে আমাদের ওপর হামলা করেন। এতে কয়েকজন গুরুতর আহত হয়েছেন।

বঙ্গবন্ধু টাওয়ারের নিরাপত্তা কর্মী কবির হোসেন বলেন, হামলার ঘটনা ফটকের বাইরে হয়েছে। আমি তখন ফটক আটকে দেই। তারা মোটরসাইকেলে এসে কয়েকজনকে অনবরত কিল-ঘুষি, লাথি মারে। একজন মারধর থেকে বাঁচতে ভেতরে চলে আসে।

এদের মধ্যে শাহীন ও রেজওয়ান ও সাকিব গুরুতর আহত হন। শাহীনকে মেরে মুখ থেতলে দেয়া হয় এবং তাদের হাত ও মুখে ক্ষত হয়েছে। রেজওয়ানের মুখে উপর্যুপরি ঘুষিতে ঠোঁট কেটে গেছে এবং কোমরে ও পায়ের চামড়া ছিঁড়ে গেছে। সাকিবকেও রাস্তায় ফেলে মারা হয়, তারও মুখ ফেটে যায়ও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় জখম দেখা যায়। তারা সবাই ঢাকা মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

অন্যদিকে অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা ২১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আসাদুজ্জামান আসাদের ডান হাত বলে পরিচিত শাহবাগ থানা ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক মো. তাওহীদুল ইসলাম ওরফে সুজন। রাজনীতিতে তিনি ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক সজল কুন্ডুর অনুসারী হিসেবে পরিচিত।

জানা যায়, আইন বিভাগের বিভিন্ন বর্ষের ১৫-২০ জন শিক্ষার্থী জোহরের নামাজ পড়তে বঙ্গবন্ধু টাউয়ারে আসেন। এসময় তারা নামাজের শেষেই রমজানের গুরুত্ব, তাৎপর্য ও মাসলা মাসায়েল সম্পর্কে আলোচনা করতে চাইলে বাধা দেন বঙ্গবন্ধু টাওয়ার কর্মচারি সমিতির সভাপতি সিরাজুল ইসলাম। এখানে আলোচনা করা উপাচার্য ও প্রক্টর থেকে নিষেধ করা আছে এবং সেন্ট্রাল মসজিদ ব্যতীত অন্য কোথাও রমজানের আলোচনা করা যাবে না বলে জানান। এসময় সেখানে শাহবাগ থানা ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক তাওহীদুল ইসলাম সুজন এসে তাদের মসজিদ থেকে বের হতে বলেন।

পরে শিক্ষার্থীরা মসজিদ থেকে বের হয়ে সেন্ট্রাল মসজিদের দিকে যেতে চাইলে গেটের মুখেই তাওহীদুল ইসলাম সুজন ও তার অনুসারীরা তাদের উপর হামলা করে। তাদেরকে রাস্তায় ফেলে এলোপাতাড়ি কিল ঘুষি দিতে থাকেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এসময় গেটের দায়িত্বে নিয়োজিত ব্যক্তি গেট বন্ধ করে দিলে তারা বিভিন্ন দিকে দৌড়ে পালাতে থাকেন। পরে কয়েকজন কোনভাবে গেট দিয়ে ঢুকে বঙ্গবন্ধু টাউয়ারের বিভিন্ন ফ্লোরে আশ্রয় নিয়ে নিজেদের রক্ষা করেন।

ভুক্তভোগী আইন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী শামীম শহীদী বলেন, আমার তাবলীগের বন্ধু ও বড় ভাইয়েরা রোজার আমল ও ফজিলত সম্পর্কে আলোচনা করতে বঙ্গবন্ধু টাউয়ারের মসজিদে আসি। আমরা আগেই এটা প্রচার করেছি যে আমরা রোজার ফজিলত, মাসলা মাসায়েল নিয়ে আলোচনা করবো। কিন্তু হঠাৎ অপরিচিত কয়েকজন মসজিদে এসে আমাদের বের হতে বলে। তাছাড়া টাওয়ারের কর্মচারীরাও আমাদের চলে যেতে বললে আমরা বের হই। এসময় আমরা গেটের কাছাকাছি আসতেই ৩০-৪০ জন আমাদের উপর হামলা করে। পরে আমরা জানতে পারি তারা ছাত্রলীগের নেতাকর্মী ছিলো। তাবলীগের উপর ছাত্রলীগ হামলা করবে আমরা ভাবতে পারিনি।

সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, আহত শিক্ষার্থী রেজওয়ান ঘটনার ৪০ মিনিট পর বঙ্গবন্ধু টাওয়ার থেকে নামছেন। তার পায়ে ও কোমরে গুরুতর জখম দেখা যায়, তাছাড়া তার ঠোট ফেটে রক্ত পড়ে তা জমাট বেধে থাকতে দেখা যায়। তিনি বলেন, আমরা নামাজের শেষে বের হতে না হতেই আমাদের উপর হামলা করা হয়েছে। আমিসহ আরও কয়েকজন তাবলীগের বন্ধুকে রাস্তায় ফেলে এলোপাতাড়ি মারধর করা হয়েছে। পরে কোন উপায় না দেখে বন্ধুর সাথে বঙ্গবন্ধু টাওয়ারের একজনের বাসায় আশ্রয় নেই। আমাদের বন্ধু শাহীন আরও গুরুতর আহত। তাকে ঢাকা মেডিকেলে নেয়া হয়েছে।

এদিকে মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করেন ছাত্রলীগ নেতা তাওহিদুল সুজন। তিনি বলেন, আমি ওখানে ছিলাম না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আমি কেন মারতে যাব।

মসজিদের ভেতর থেকে তোলা তার ছবি এবং সিসিটিভি ফুটেজের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ফেসবুক থেকে আমার ছবি ব্যবহার করা হচ্ছে। যারা ব্যবহার করছে, তাদের ভিন্ন উদ্দেশ্য থাকতে পারে।

Comments are closed.

এই ধরণের আরো খবর

বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস

সর্বমোট

আক্রান্ত
সুস্থ
মৃত্যু
সূত্র: আইইডিসিআর

সর্বশেষ

আক্রান্ত
সুস্থ
মৃত্যু
স্পন্সর: একতা হোস্ট
© All rights reserved © 2021 notunalonews24.com
Design and developed By Syl Service BD